কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর ব্যবহার
নেটওয়ার্কের কাজ হলো দুই বা ততোধিক ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা এবং তথ্য আদান-প্রদানে সহায়তা করা।

নেটওয়ার্ক বলতে দুই বা ততোধিক ডিভাইসের (যেমন কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, প্রিন্টার) মধ্যে সংযোগকে বোঝায় যা তথ্য আদান-প্রদান এবং শেয়ার করতে পারে। এই ডিভাইসগুলো তার, ওয়াইফাই বা অন্য কোন যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডিভাইসগুলো একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তথ্য শেয়ার করতে পারে, রিসোর্স ব্যবহার করতে পারে এবং বিভিন্ন সেবা পেতে পারে।
নেটওয়ার্ক প্রধানত কয়টি?
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN): এটি একটি ছোট আকারের নেটওয়ার্ক যা একটি ভবন, বাড়ি বা অফিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। LAN সাধারণত ইথারনেট কেবল বা ওয়াইফাই ব্যবহার করে ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করে।
মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN): এটি একটি বড় আকারের নেটওয়ার্ক যা একটি শহর বা মহানগর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত থাকে। MAN সাধারণত LAN গুলোকে সংযুক্ত করার জন্য ফাইবার অপটিক কেবল বা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে।
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN): এটি একটি বিশাল আকারের নেটওয়ার্ক যা একটি দেশ, মহাদেশ বা এমনকি পুরো বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত থাকে। WAN সাধারণত টেলিযোগাযোগ লাইন, স্যাটেলাইট বা অন্যান্য দূরবর্তী যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করে।
ইন্টারনেট: এটি বিশ্বের বৃহত্তম নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন ধরণের নেটওয়ার্ক (LAN, MAN, WAN) দ্বারা গঠিত। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করতে পারে, ইমেইল পাঠাতে ও গ্রহণ করতে পারে, অনলাইনে চ্যাট করতে পারে, ফাইল শেয়ার করতে পারে এবং আরও অনেক কিছু করতে পারে।
Campus Area Network (CAN)
এছাড়াও রয়েছেঃ Personal Area Network (PAN), Wireless Local Area Network (WLAN), Campus Area Network (CAN) ,Wide Area Network (WAN),Storage-Area Network (SAN), System-Area Network (also known as SAN), Passive Optical Local Area Network (POLAN), Enterprise Private Network (EPN), Virtual Private Network (VPN)
নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে
নেটওয়ার্ক বিভিন্ন উপাদান এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে।
উপাদান:
নেটওয়ার্কের মূল উপাদান হল ডিভাইস, যেমন কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, প্রিন্টার, রাউটার, স্যুইচ ইত্যাদি। এই ডিভাইসগুলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। নেটওয়ার্কিং মিডিয়া হল ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম। এটি তার, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ইনফ্রারেড, স্যাটেলাইট ইত্যাদি হতে পারে। নেটওয়ার্কিং প্রোটোকল হল নিয়মাবলী যা ডিভাইসগুলো একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার সময় অনুসরণ করে। এটি ডেটা কিভাবে ফরম্যাট করা হবে, কিভাবে ট্রান্সমিট করা হবে এবং কিভাবে রিসিভ করা হবে তা নির্ধারণ করে। নেটওয়ার্কিং সফটওয়্যার হল প্রোগ্রাম যা নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো কে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে। এটি অপারেটিং সিস্টেম, নেটওয়ার্কিং অ্যাপ্লিকেশন, ডিভাইস ড্রাইভার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
প্রক্রিয়া:
যখন একটি ডিভাইস অন্য ডিভাইসে ডেটা পাঠাতে চায়, তখন এটি প্রথমে ডেটাকে ছোট ছোট প্যাকেটে ভাগ করে। প্রতিটি প্যাকেটে ডেটার সাথে উৎস এবং গন্তব্য ডিভাইসের ঠিকানাও থাকে। তারপর ডিভাইসটি নেটওয়ার্কিং মিডিয়া অ্যাক্সেস করে এবং ডেটা প্যাকেটগুলো পাঠায়। গন্তব্য ডিভাইস ডেটা প্যাকেটগুলো রিসিভ করে এবং সেগুলোকে একত্রিত করে মূল ডেটা পুনরুদ্ধার করে। ডেটা ট্রান্সমিশনের সময় ত্রুটি হতে পারে। ত্রুটি চেকিং প্রক্রিয়া ত্রুটি শনাক্ত করে এবং সেগুলো সংশোধন করে।
উদাহরণ:
ধরুন আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে আপনার কম্পিউটারে একটি ছবি পাঠাতে চান।
What's Your Reaction?






