দেশে হঠাৎ করে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। এমন সংকটের কারণে দেশজুড়ে প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে। লোডশেডিংয় তারমধ্যে তীব্র গরম এতে করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটছে। তীব্র গরমের মধ্যে ক্লাসে বা রাতে বাসায় বিদ্যুৎ চলে গেলে পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে ছোট বড় সব শিক্ষার্থীরা।
“আগে বিদ্যুৎ না থাকাটা ছিল কালেভদ্রে, এখন সেটি নিয়মিত হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে” সংলাপকালে এমনটিই বলছিলেন যশোর সরকারি এম. এম. কলেজের শিক্ষার্থী সেলিম পারভেজ।
সেলিম পারভেজ বলেন, প্রতিদিন দিনে, সন্ধ্যায় ও রাতে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে ঘণ্টার ওপর অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে আর পড়তে বসতে পাড়ি না।
কলেজের এক শিক্ষক বলেন, আগে সব শিক্ষার্থী বাসার পড়া ঠিক মতো দিতে পারলেও এখন কেউ কেউ পিছিয়ে পড়ছে। বাসায় বিদ্যুৎ থাকছে না বলে তারা কারণ দেখাচ্ছে।
কলেজের অন্য শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে লোডশেডিং শুরু হওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেনারেটর নেই বলে বিদ্যুৎ চলে গেলে তীব্র গরমের মধ্যে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মনোযোগ ধরে রাখা যাচ্ছে না। প্রতিদিন লোডশেডিং হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নানাভাবে ভোগান্তি হচ্ছে। তবে এজন্য স্কুল-কলেজের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া বা স্কুল বন্ধ রাখা কোনো সমাধান নয়, বরং দ্রুত সময়ের মধ্যে আগের মতো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে।
এম. এম কলেজের এক ছাত্রী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে খড়কি এলাকায় মেসে থাকি। সাধারণত আমি রাতে কলেজের পড়া ও অনলাইনে কিছু কাজ করি। বর্তমানে আমাদের এলাকায় দিন ও রাতে সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে। সে কারণে কলেজের কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারছি না। জরুরি কাজ থাকলে সেটি শেষ করতে অনেক রাত হয়ে যাচ্ছে বলে ঘুমাতে দেরি হচ্ছে। আবার সকালে উঠতেও দেরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সমাজের বিশিষ্টজনেরা বলেন, নিয়মিত লোডশেডিং শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। শহরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর বা বিকল্প ব্যবস্থা নেই বলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এছাড়া আরও বলেন, এমনিতে করোনার জন্য প্রায় দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল বলে শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে। নিয়মিত লোডশেডিং হলে তারা আরও পিছিয়ে পড়বে।
জব/জআ