খুলনার হাদিউজ্জামান ছিলেন এক সার্জনের সহকারী। ঢাকায় এসে নিজেই বনে যান সার্জন। পার্লার খুলে শুরু করেন পুরুষদের তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তরের ব্যাবসা। তাকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা বলছেন গুরু মায়েদের মাধ্যমে আসা প্রায় ১০০ পুরুষকে তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করেন হাদিউজ্জামান। জনপ্রতি নিয়েছেন এক লক্ষ টাকা।
রাজধানীর মালিবাগের মাহী-হাসান টাওয়ার এর চার তালায় লেজার বিউটি পার্লারে পুরুষদের তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তরের কাজ করতেন ভুয়া সার্জন হাদিউজ্জামান।
গ্রেফতারের পর হাদিউজ্জামান বলছেন খুলনায় এক সার্জনের সহকারী ছিলেন তিনি, সেখান থেকে শেখেন এ কাজ। কাজ শিখে ঢাকায় এসে পার্লার খুলে পার্লারের আড়ালে করেন এ ব্যাবসা। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া তার আর কোনো কাগজপত্রই নেই। ঔষধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম এনেছেন চীন থেকে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘প্রতিটি পেশেন্টের কাছ থেকে তারা প্রায় এক লক্ষ করে টাকা নিয়ে থাকে। তাদের কাছে নেই কোনো ডাক্তারী সনদ, লাইসেন্স নেই, তিনি ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রায় ১০০ মতো তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করেছেন।’
অভিযানে হাদিউজ্জামান, তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (পার্লারের মালিক) ও দুই সহযোগীকে আটক করে ডিবি।
জনবার্তা /শাশি