হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যশোরের রাজনীতি। বিএনপির শীর্ষ চার নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর আজ রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে শহরের দড়টানা ভৈরব চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
যশোর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের মিছিল থেকে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
একাধিক সূত্র জানায়, আদালতে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের দেখতে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। আদালত থেকে ফেরার পথে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় প্রকাশ্যে একদল সন্ত্রাসী আগ্নোয়াস্ত্রও অস্ত্র উচিয়ে গুলি করতে উদ্যাত হয়। তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে থাকা জিআই পাইপ, ক্রিকেট স্ট্যাম্প,লোহার রড দিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়ি ভেঙে দেয়।
লাঠিসোটা ও লোহার রডের হামলার মুখে চালক গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যান। পরে তার ঘোপ পিলু খান সড়কস্থ বাস ভবনে পুনরায় হামলা করে।
এরপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের লালদীঘি পাড়ের জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়। এ সময় কার্যালয়ের ভেতরের চেয়ার, টেবিল, ব্যানার ফেস্টুন ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনার পর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আদালত থেকে ফেরার পথে তার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। এরপর তারা পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনবার্তা/জানি/জআ