মোশাররফ করিম ও জুঁই অভিনীত ‘আবর্ত’ ডালাস চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত

বাংলাদেশের প্রশংসিত অভিনেতা মোশাররফ করিম এবং রোবেনা রেজা জুঁই অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আবর্ত-দ্যা সার্কেল’ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অনুষ্ঠিতব্য ‘৮ম বেঙ্গলী ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ডালাস ২০২৫’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

মোশাররফ করিম ও জুঁই অভিনীত ‘আবর্ত’ ডালাস চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত
আবর্ত

ডালাস, টেক্সাস: বাংলাদেশের প্রশংসিত অভিনেতা মোশাররফ করিম এবং রোবেনা রেজা জুঁই অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আবর্ত-দ্যা সার্কেল’ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অনুষ্ঠিতব্য ‘৮ম বেঙ্গলী ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ডালাস ২০২৫’-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছে। মাহামুদুল হাসান টিপু পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি উৎসবের জন্য জমা পড়া ২৩৮টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র থেকে নির্বাচিত চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের মধ্যে অন্যতম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

২৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রটি উৎসবের দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ২ আগস্ট, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ডালাসের অ্যাঞ্জেলিকা ফিল্ম সেন্টার অ্যান্ড ক্যাফেতে প্রদর্শিত হবে। একই সেশনে ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের জীবনভিত্তিক এবং সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ফিচার ফিল্ম ‘পদাতিক’ও প্রদর্শিত হবে, যা এই நிகழ்வுக்கு ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

‘আবর্ত’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন কাজী আসাদ। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও রোবেনা রেজা জুঁই দম্পতি। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন সাদ্দাম মাল, আভা রানী, অগ্রগামী সাম্য ও নিজাম উদ্দিন। ছবিটির চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন দানিয়েল ড্যানি এবং শিল্প নির্দেশনায় ছিলেন থিউফেলাস স্কট।

চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে অভিনেত্রী রোবেনা রেজা জুঁই বলেন, “‘আবর্ত’ কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি বাংলাদেশের বাস্তবতা থেকে উঠে আসা এক নারীর সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। এটি বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলের এক নারীর নীরব সংগ্রাম, সামাজিক ও পারিবারিক চাপের বিরুদ্ধে টিকে থাকার চেষ্টা এবং জীবন নামক এক চক্র ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নির্মিত।”

পরিচালক মাহামুদুল হাসান টিপু জানান, “এই চলচ্চিত্রটি মূলত সেই নারীদের প্রতিচ্ছবি, যারা প্রতিদিনের দায়িত্বের বোঝা, নীরব ত্যাগ এবং অব্যক্ত যন্ত্রণা বহন করে চলেন। এটি এক ধরনের নীরব বিদ্রোহ, যেখানে একজন নারী তার অতীত, হতাশা এবং মৌন অস্তিত্ব থেকে মুক্তি পেতে চায়।”

‘আবর্ত’-এর গল্পটি পর্যটন-নির্ভর এক নির্জন সমুদ্র সৈকতের পাশে একটি ছোট কাঁকড়া ভাজার দোকানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। চলচ্চিত্রটি এক নারীর আত্ম-আবিষ্কার এবং তার পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে লড়াইয়ের একটি মর্মস্পর্শী আখ্যান তুলে ধরেছে। ডালাসের মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘আবর্ত’-এর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0