কমছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগে পাঁচ হাজার পরিবার
তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নামলেও উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে লালমনিরহাটসহ তিস্তাপাড়ের পাঁচ হাজার পরিবার এখনও বন্যা ও নদীভাঙনের আতঙ্কে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলেও বুধবার (৩০ জুলাই, ২০২৫) সকাল থেকে তা কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমতে শুরু করলেও তিস্তাপাড়ের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার এখনও চরম দুর্ভোগে রয়েছে। বন্যা ও নদীভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা।
বুধবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার। এটি স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার থেকে মাত্র ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা এখনও বিপদসীমার কাছাকাছি। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জানা গেছে, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা বৃষ্টির প্রভাবেই তিস্তার পানি আকস্মিকভাবে বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। যদিও বুধবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে, তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বহু ফসলি জমি এখনও পানির নিচে তলিয়ে আছে। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর, পাটগ্রামের দহগ্রাম, আদিতমারীর চর গোবর্ধন ও মহিষখোঁচা, এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা চরম উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিস্তা নদীর পানি কমছে এবং বর্তমানে এটি বিপদসীমার ৮ সেন্মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীও নিশ্চিত করেছেন যে, উজানের ঢলে পানি বাড়লেও এখন তা কমছে।
What's Your Reaction?
Like
0
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0